লেখায়- ডা. জসিম তালুকদার
ধর্ম শব্দে ধারণ করা এবং ম-অন করা দুটি ক্রিয়া রয়েছে [ধর্ম=ধৃ+ম (মন)]। ধর্ম হলো – ধারণ করে ‘রক্ষা করার বিশেষ রীতিনীতি’ (ম-অন)। অস্তিত্বের যে কর্ম অস্তিত্বটিকে রক্ষা করে তা তার ধর্ম। অণুুর ভিতরে পরমাণুদের কর্মই অণুটির ধর্ম। ম-অন ব্যাপারটি কর এবং ধর এ রূপায়িত হয়ে কর্ম ও ধর্ম হয়েছে। সুতরাং কর্মই ধর্ম। যে যা করে তা তার ধর্ম; সমাজের ভিতরে তার সদস্যদের কর্ম সমাজের ধর্ম। ধর্মকে কেউ কর্ম থেকে আলাদা করতে পারে না। সহজ কথা- যে কর্ম মানুষকে শান্তি দেয় তা ধর্ম। আর যে কর্ম মানুষকে অশান্তি দেয় তা অধর্ম। তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত ধর্ম পালন করা এবং অধর্ম পরিহার করা।
আমরা যে-সব বিষয়কে ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ মনে করি তার সবই বাহ্য বিষয়। ধর্মকে বাহ্য বিষয় হিসেবে গণ্য করার মানেই হলো এটি নিয়ে খেলা করা, বিভেদ সৃষ্টি করা এবং ধর্মকে ব্যবসা ও বিনোদনের মাধ্যমে পরিণত করা। ধর্ম পালনের জন্য অনুষ্ঠান ও দেবালয়ে গমনের বিধি-বিধানগুলো হলো ধর্মবিলাস। বাস্তবে ধর্ম সংস্থাপনের ক্ষেত্র হলো জীবন, জীবনের ক্ষুধা-তৃষ্ণা। ধর্মের জন্য জীবন নয়- জীবনের জন্য ধর্ম। ধর্মের জন্য কর্ম নয়- জীবনের জন্য কর্ম। ধর্মকর্ম করা অধর্ম। কর্মধর্ম করা ধর্ম। ধর্মের মর্ম যারা বুঝে না তারাই ধর্মের জন্য কর্ম করে। ধর্ম যতদিন পর্যন্ত জীবনযাপনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন না হবে ততদিন পর্যন্ত ধর্মের নামে ব্যবসা আর অনাচারই হবে- ধর্ম হবে না।
আরও পড়ুন
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও ইমো-ভাইবার-মেসেঞ্জার থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনা